সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সীতাকুণ্ডে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসীদের এলোপাথারী আঘাতে জামায়াত কর্মী গুরুতর আহত। ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত দাকোপে ঘূর্ণিঝড় রিমাল ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ। শাহরাস্তি উপজেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা। সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙ্গা শিল্প প্রায় ধ্বংস! কাজের সংকটে শ্রমিকঃ রেশনিং ব্যবস্হার দাবী। বর্ণাঢ্য আয়োজনে জালালাবাদ প্রেসক্লাব এর ৫০ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উদযাপন “ সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে দুটি চয়েস দিয়েছিলঃ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত। মিরপুরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাথে জামায়াতের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। দাকোপের খুটাখালী বাজুয়া আর্য্যহরি সভার নবনির্বাচিত কমিটি গঠিত। 
বিজ্ঞপ্তিঃ

"দৈনিক দেশি নিউজ 24" এর জন্য সারাদেশে  প্রত্যেক  বিভাগ,জেলা ও উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যোগাযোগঃ ই-মেইল-Newsdeshy@gmail.com/Mmdidar7@gmail.com মোবাইলঃ 01714430261/01720834962 WhatsApp & Imo:00966509665820 #বিশ্বব্যাপী আপনার প্রতিষ্টান ও পন্যের প্রচার প্রসারে বিজ্ঞাপন দিতে ও বিস্তারিত যোগাযোগের জন্য আমাদেরকে উল্লেখিত ইমেইলে ইমেইল করুন। Newsdeshy@gmail.com -  Mmdidar7@gmail.com

বাড়বকুণ্ড জনতা ব্যাংকে কোনদিন লেনদেন না করেও অর্ধ কোটি টাকার ঋণখেলাপী নোটিশ পেলো অসহায় কিছু মানুষ!কে নিলো এই ঋণ?

  • আপডেট সময়ঃ বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৯৫ ভিউ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড জনতা ব্যাংক শাখায় এক টাকা লেনদেন করেননি, একদিন প্রবেশ করেই তারা অর্ধ কোটি টাকা লোন নিয়েছেন,এমনই এক তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
মোঃ ইমাম হোসেন (৩৫), বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মান্দারীটোলা গ্রামের একজন হতদরিদ্র কৃষক। বলতে গেলে সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায় এমনি অবস্থা তার। কিন্তুু তার নামে জনতা ব্যাংক বাড়বকুণ্ড শাখায় থেকে নেয়া হয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার ঋণ, যার সবকটি এখন খেলাপী। গেল ৯ আগস্ট ব্যাংক থেকে ঋণ পরিশোধের নোটিশ দেয়া হলে তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে,কিভাবে ঋণ না নিয়েও তার নামে ঋণখেলাপী নোটিশ এলো, কারা নিলো এ ঋণ? এ নিয়ে ইমামের কপালে চিন্তার ভাঁজ। তবে মান্দারীটোলা গ্রামে কেবল ইমাম হোসেনই নয় অন্তত অর্ধশত নারী-পুরুষকে খেলাপী ঋণ পরিশোধের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ করেছে জনতা ব্যাংক বাড়বকুণ্ড শাখা। ব্যবস্থাপক মিল্টন ঘোষ স্বাক্ষরিত এসব নোটিশে পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে ঋণের সমুদয় অর্থ সুদসহ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

ঋণ না নিয়েও একই দিনে লাখ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধের নোটিশ পেয়েছেন এক গ্রামের অনেক মানুষ। তাদের প্রত্যেকের চেহারায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ছাপ। কিভাবে পরিশোধ করবেন এতো টাকার ঋণ? যেখানে সংসার চালাতে নুন আনতে পান্তা ফুরায়,তাদের একটাই প্রশ্ন? কিভাবে তাদের নামে ঋণ হলো? ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে তারা এখন কি করবেন? কিংবা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে আইনী ঝামেলায় পড়লে কি হতে পারে এমন ভয়েও ভুগছেন অনেকে।
খবর পেয়ে অনুসন্ধান শুরু করলে বেরিয়ে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যেখানে এক গ্রামের একজন মাত্র ব্যক্তি তার গ্রামের অনেকজনকে দিয়ে ঋণ নিয়ে দিয়েছেন। তার সাথে আছে একটি প্রতারক ও ব্যাংক লুটেরা চক্র। যার প্রমাণ মিলেছে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে। আর চক্রের সঙ্গে জনতা ব্যাংক বাড়বকুণ্ড শাখার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে বলেও প্রতিয়মান হয়েছে।
সরেজমিনে সোমবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে মান্দারীটোলা গ্রামে গিয়ে জানা যায়, নোটিশ পাওয়া নারী-পুরুষরা আহম্মেদুর রহমান নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভিড় করেছেন। তারা সবাই আহম্মেদুর রহমানের কাছে ঋণের কারণ জানতে চাইছেন। নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিদের অভিযোগ জনতা ব্যাংকের সাথে তাদের কোন আর্থিক লেনদেনের নেই। তবে ২ বছর আগে আহম্মেদুর রহমান তাদেরকে জনতা ব্যাংকে একটি একাউন্ট করলে ১ হাজার টাকা দেয়া হবে এমন আশ্বাসে প্রলুব্ধ করে ব্যাংকে নিয়ে যান। এরপর তাদের প্রত্যেকের নামে একটি করে একাউন্ট খোলা হয় এবং ১ হাজার টাকা করে বুঝিয়ে দেয়া হয়। সেই থেকে ব্যাংকে আর কখনওই তাদের যাতায়াত ছিলোনা। এখন ২ বছর পর তাদের নামে ঋণখেলাপীর নোটিশ ইস্যু করেছে ব্যাংক।

মান্দারীটোলা গ্রামের ইমাম শরীফের বাড়ির মোঃ শাহ আলমের ছেলে করিম উদ্দিন প্রতিনিধি কে জানায়,তিনি একজন নিন্মবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষ। ২০২১ সালের ১৯ জুন জনতা ব্যাংক বাড়বকুণ্ড শাখা থেকে তিনি ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন মর্মে তাকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে গত ২০২২ সালের ১৯ জুন ঋণের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে স্ব-শরীরে ও ফোনে তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ঋণের টাকা পরিশোধ করেননি। আগামী ১৫ কার্যদিবসে যদি ঋণ পরিশোধ করা না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে করিমের ভাষ্য তিনি কোন ঋণ নেননি। জনতা ব্যাংকের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।

একই নোটিশ পেয়েছেন তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও মা হোসনে আরা বেগমও। তাদের নামে ঋণ দেখানো হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৩ লাখ টাকা। তবে করিম উদ্দিন ও তার মায়ের ঋণ গ্রহণের তারিখ ২০২১ সালের জুনে হলেও তার স্ত্রীর ঋণ গ্রহণের সময় দেখানো হয়েছে এক মাস পরে। ঐ গ্রামের একই বাড়ির শিরিনা আক্তার ও ঝর্ণা আক্তারও পেয়েছেন দেড় লাখ টাকা ঋণখেলাপীর নোটিশ। তাদের নামেও একই অঙ্কের ঋণ অপরিশোধিত রয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ আছে।
এছাড়াও দেড় লাখ টাকা করে ঋণখেলাপীর নোটিশ পেয়েছেন ইমাম হোসেনের স্ত্রী নাছরিন আক্তার, মা ছালেহা বেগম,বাবা মোঃ ফয়জুল্লাহ, একই গ্রামের বাসিন্দা নুর আলম, শাহানারা বেগম, তার মেয়ে শামসুন নাহার, কুলসুমা বেগম, মোছাম্মৎ মরিয়ম। ১ লাখ টাকার ঋণখেলাপীর নোটিশ পেয়েছেন রেহেনা বেগম ও গুলজারা বেগম। তাদের প্রত্যেকের ঋণ গ্রহণের সময় দেখানো হয়েছে ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে নভেম্বরের মধ্যে। তবে নোটিশ পাওয়া ১৬ জনের সঙ্গে প্রতিনিধির কথা হলেও এ সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ঋণ না নিয়েও গ্রামের সাধারণ কৃষকদের মাথায় ঋণের খড়গ। তারা কেউ মনেই করতে পারছেননা কখন তারা ঋণ নিয়েছেন? শেষমেশ ২ বছর আগে ১ হাজার টাকার বিনিময়ে জনতা ব্যাংকে নিয়ে যাওয়া আহম্মেদুর রহমানের বাড়িতে সোমবার সকালে ভিড় করে সবাই। সেখানে তারা হৈ-হুল্লোড় ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। তাদের প্রত্যেকের অভিযোগের তীর আহম্মেদুর রহমানের দিকে। তাদের সবার ভাষ্য করোনাকালে সরকার গরীব লোকদের টাকা দিচ্ছেন বলে আহম্মেদুর রহমান তাদেরকে ব্যাংকে নিয়ে গেছেন। এই কৌশলে তিনি সব ঋণ হাতিয়ে নিয়েছেন। তারা কোন ঋণ গ্রহণ করেননি, এমনকি ১ টাকাও তারা চোখে দেখেননি, হাত দিয়েও ধরেননি।

এসময় কিভাবে এতো ঋণ নিয়েছেন শতাধিক মানুষকে দিয়ে জানতে চাইলে আহম্মেদুর রহমান নিজেকে দৃষ্টিহীন এবং অসুস্থ বলে দাবি করেন৷ পরে জনরোষে পড়ে তিনি বলেন, আমি কাউকে দিয়ে ঋণ নিইনি। তারা সবাই মিথ্যা বলছে। এতো মানুষ কেন আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলবে? আপনার সাথে তাদের কিসের শত্রুতা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তা জানিনা। তবে তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলছেন। তবে একপর্যায়ে নিজের নামে জনতা ব্যাংক বাড়বকুণ্ড শাখায় ৭ লাখ ঋণ রয়েছে এবং তার ব্যবসায়িক অংশিদার তাকে দিয়ে কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন বলেও স্বীকার করেন তিনি। একইসাথে নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিদের জনতা ব্যাংকে নিয়ে গিয়ে হিসাব খোলার কথাও মুখ ফসকে বলে ফেলেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা ওয়াসি উদ্দিন বাবলা প্রতিনিধি কে বলেন, আহম্মেদুর রহমান একজন দেউলিয়া ব্যবসায়ী। তিনি সবাইকে দিয়ে ঋণ নিয়েছেন জনতা ব্যাংক থেকে। যেখানে আমরা একটি ঋণ নিতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। সেখানে একজনই হয়েছেন অর্ধ শতাধিক ঋণের জামিনদার। অথচ ঋণ গ্রহীতাদের অনেকেরই কোন জমিজমা কিংবা সম্পত্তি নেই। কিভাবে সম্ভব? ব্যাংকের কর্মকর্তারা জড়িত আছে কিনা সেটি যেমন খতিয়ে দেখা দরকার তেমনি অতিদ্রুত এ সমস্যা সমাধান জরুরী। তা না হলে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।

এদিকে একজন ব্যক্তি কিভাবে এতো টাকার ঋণ নিলেন, কিভাবে একজন ব্যক্তি অনেকের জামিনদার হলেন? জানতে চাইলে জনতা ব্যাংক বাড়বকুণ্ড শাখার ব্যবস্থাপক মিল্টন ঘোষ প্রতিনিধি কে বলেন, এসব বিষয়ে আমি জানিনা। তখনকার সময় শাখা ব্যবস্থাপক ছিলেন ইমতিয়াজুল ইসলাম, এসব ব্যাপারে তিনিই ভালো জানবেন। আপনারা ওনার সাথে কথা বলুন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন ব্যক্তি ক্ষেত্রবিশেষে কয়েকজনের জামিনদার হতে পারেন। তবে আহম্মেদুর রহমানের কয়েকটি ঋণ খেলাপী রয়েছে। আবার তার নামে অনেক বড় অঙ্কের এফডিআরও জমা আছে আমাদের শাখায়। এমনকি নোটিশ দেয়া ব্যক্তিদের অপরিশোধিত ঋণ অনিরাপদ নয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।
কৃষি শস্যের জন্য ঋণ নিতে কি কি শর্তাবলী প্রযোজ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঋণ গ্রহণের জন্য একজন জামিনদারই যথেষ্ট। এর বাইরে স্থানীয় বাসিন্দা কিনা সেটি যাচাই করা হয়। কোন ধরণের বন্ধকী সম্পত্তি কিংবা দলিলের প্রয়োজন নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আহম্মেদুর রহমানের সঙ্গে যোগসাজশ আছে এমন অভিযোগ ওঠেছে জনতা ব্যাংক বাড়বকুণ্ড শাখার সিনিয়র অফিসার মোঃ আবদুল্লাহর বিরুদ্বে। জানতে চাইলে তিনি নিজের বিরুদ্ধে  সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, তারা সবাই ঋণ নিয়েছেন। আমি ঋণের কাগজপত্র সম্পন্ন করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আহম্মেদুর রহমানকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন এবং তাকে অনেক লোক নিয়ে ব্যাংকে ঋণ গ্রহণ করতে এসেছেন বলেও স্বীকার করেছেন। এমনকি জালিয়াতি করে আহম্মেদুর রহমানের ঋণ নেয়ার ব্যাপারেও তিনি অবগত ছিলেন। এসময় ভুক্তভোগী ফয়জুল্লাহ ব্যাংকে এসে ক্ষোভ করে বলেন, তার পরিবারের ৪ জনকে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ। দুই বছর আগে তিনি এক হাজার টাকার সই-স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে বলেছিলেন। কোন ঋণের কথা তাকে জানানো হয়নি।

একই কথা বলেন করিম উদ্দিনও। তিন বলেন, আমার পরিবারের ৫ জনকে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কিভাবে এতগুলো ঋণ পরিশোধ করব? কেনইবা করব? আমিতো কোন ঋণ নিইনি। আমাকে আহম্মেদুর রহমান ও ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ বলেছিলেন সঞ্চয়ী হিসাব খুললে ভালো হয় সাথে ১ হাজার টাকাও পাওয়া যাবে। এতে কোন সমস্যা নেই।
জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের বাড়বকুণ্ড শাখার তৎকালীন ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজুল ইসলাম বলেন, যারা বলছেন ঋণ নেননি। তারা ভুল বলছেন। কারণ ঋণের সব প্রক্রিয়া তারা সম্পন্ন করেছেন৷ আহম্মেদুর রহমানের অনেক টাকা এফডিআর জমা ছিল। তাই অনেকের ঋণে তাকে জামিনদার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া কৃষি ঋণের জন্য জামিনদার হলেই চলে কোন ধরণের সিকিউরিটির প্রয়োজন হয়না। এক পরিবারের একাধিক সদস্যকে একই সময়ে ঋণ দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কাগজপত্র না দেখলে বলতে পারব না। এসময় তিনি কৃষি ঋণের কর্মকর্তার উপর দায় চাপান৷

বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী বলেন, অবশ্যই এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল্লাহসহ আরও কয়েকজন জড়িত আছেন। তারা জড়িত না থাকলে এটি কখনওই সম্ভব নয়। আহম্মেদুর রহমান সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে এসব করেছে। তার সাথে বড় চক্র জড়িত। ঋণ গ্রহীতাদের ঋণের সব টাকা আহম্মেদুর রহমান এফডিআর করে রেখেছেন। তার নামে আগে কোন এফডিআর ছিলোনা। আমরা তার পরিবারের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত তার এফডিআর ভেঙে সব ঋণ পরিশোধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অন্যথায় আমার এলাকার মানুষ বিপদে পড়বে। যা আমি চাইনা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024

Theme Download From ThemesBazar.Com
Translate »