সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত দাকোপে ঘূর্ণিঝড় রিমাল ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে নগদ অর্থ ও ঢেউটিন বিতরণ। শাহরাস্তি উপজেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির প্রস্তুতি সভা। সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙ্গা শিল্প প্রায় ধ্বংস! কাজের সংকটে শ্রমিকঃ রেশনিং ব্যবস্হার দাবী। বর্ণাঢ্য আয়োজনে জালালাবাদ প্রেসক্লাব এর ৫০ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উদযাপন “ সেনাবাহিনী শেখ হাসিনাকে দুটি চয়েস দিয়েছিলঃ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত। মিরপুরে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সাথে জামায়াতের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। দাকোপের খুটাখালী বাজুয়া আর্য্যহরি সভার নবনির্বাচিত কমিটি গঠিত।  মৌলভীবাজারে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন- সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন ।
বিজ্ঞপ্তিঃ

"দৈনিক দেশি নিউজ 24" এর জন্য সারাদেশে  প্রত্যেক  বিভাগ,জেলা ও উপজেলায় প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। যোগাযোগঃ ই-মেইল-Newsdeshy@gmail.com/Mmdidar7@gmail.com মোবাইলঃ 01714430261/01720834962 WhatsApp & Imo:00966509665820 #বিশ্বব্যাপী আপনার প্রতিষ্টান ও পন্যের প্রচার প্রসারে বিজ্ঞাপন দিতে ও বিস্তারিত যোগাযোগের জন্য আমাদেরকে উল্লেখিত ইমেইলে ইমেইল করুন। Newsdeshy@gmail.com -  Mmdidar7@gmail.com

সিলেটের দুই হোটেলের বিরুদ্ধে মালপত্র আটকে হয়রানির অভিযোগ!

  • আপডেট সময়ঃ বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪৫ ভিউ

এম মখলিছ খানঃ

সিলেট মহানগরের মিরের ময়দান এলাকার দুটি আবাসিক হোটেলের বিরুদ্ধে মালপত্র আটকে রেখে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুর এলাকার আলী নুর মোহাম্মদ ছামুয়েল। তিনি যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও একটি সফটওয়্যার কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।

 

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে মহানগরের পূর্ব জিন্দাবাজারস্থ একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগগুলো তুলে ধরেন তিনি। মিরের ময়দানের অভিযুক্ত আবাসিক হোটেল দুটি হলো- ফার্মিস গার্ডেন ও জিরান গেস্ট হাউস।

প্রবাসী ছামুয়েল অভিযোগ করেন- হোটেলে আটকে রাখা মালপত্র উদ্ধারে পুলিশের ধারস্থ হয়েও তিনি কোন সহযোগিতা পাননি। উল্টো কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি মো. নুনু মিয়া তাকে নানাভাবে হয়রানি করেছেন। অভিযুক্ত দুই আবাসিক হোটেলের মালিকের সঙ্গে আঁতাত করে ওসি নুনু মিয়া তাকে আরও হয়রানি করেছেন। পরে ব্রিটিশ হাইকমিশনের হস্তক্ষেপে ও আদালতের নির্দেশে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ওই প্রবাসীর পাসপোর্ট ও ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু মালামাল উদ্ধার করে দেন। তবে এখনো কিছু মালপত্র উদ্ধার হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।

 

সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী আলী নুর মোহাম্মদ ছামুয়েল বলেন- নির্ঝঞ্জাটভাবে তাঁর সফটওয়্যার কোম্পানির কাজ করার জন্য গত আগস্টে দেশে এসে তিনি মিরের ময়দান এলাকার জিরান গেস্ট হাউসে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করে উঠেন। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় ২০ আগস্ট পার্শবর্তী হোটেল ফার্মিস গার্ডেনে ৭ দিনের জন্য রুম ভাড়া নেন। এখানেও তিনি ৭ দিনের ভাড়া অগ্রিম পরিশোধ করেন। ৫ দিনের মাথায় তিনি একটি কাজে বেরিয়ে ২৭ আগস্ট হোটেলে ফিরে মালামাল নিয়ে রুম ছাড়তে চান। কিন্তু হোটেল স্টাফরা এসময় তার মালপত্র দিতে রাজি হননি। এসময় প্রবাসী ছামুয়েল ফোনে হোটেলের ম্যানেজার রাফির সঙ্গে কথা বললে তিনি দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু অগ্রিম বিল পরিশোধের পরও কেন তাকে টাকা দিতে হবে- এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর তাকে ম্যানেজার দেননি।

বিষয়টি নিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় উপস্থিত হয়ে ছামুয়েল লিখিত অভিযোগ দিতে চাইলে পুলিশ সেটি গ্রহণ করেনি। পরে আরেক দফা তিনি পুলিশের সহযোগিতা চাইলে কোতোয়ালি থানার সে সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুনু মিয়া কোনো সহযোগিতা না করে ছামুয়েলের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এমনকি তার সামনে বসেই অভিযুক্ত ফার্মিস গার্ডেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে খোশালাপে লিপ্ত হন।

পরে বাধ্য হয়ে স্যামুয়েল বাংলাদেশে অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করে সহযোগিতা চান। হাইকমিশনের পরামর্শে পরে প্রবাসী ছামুয়েল আইনজীবী নিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ আদালত আমলে নিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মালামাল উদ্ধারের নির্দেশ দেন। পরে ১ অক্টোবর এসএমপি’র দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা স্যামুয়েলকে সঙ্গে নিয়ে ফার্মিস গার্ডেন থেকে তার ল্যাপটপ ও পাসপোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ মালামাল উদ্ধার করেন। তবে জামাকাপড় ও প্রসাধনীসামগ্রীসহ কিছু ব্যক্তিগত মালপত্র এখনো সেখানে রয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন প্রবাসী ছামুয়েল।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- ‘জিরান গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার মো. রব্বানি আমার কাছে বড় অংকের আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি তাৎক্ষণিক দিতে সম্মত হইনি বলে তিনিই মূলতঃ এসব ঘটনার কলকাটি নেড়েছে। কারণ- আমার কাছে ফার্মিস গার্ডেনের ম্যানেজারের টাকা দাবির কোনো কারণ নেই, আমি সেখানে ৭ দিনের অগ্রিম ভাড়া দিয়ে রুম বুক করেছিলাম। ফার্মিস গার্ডেন ও জিরান গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষের গোপন আতাঁত রয়েছে বলেই আমাকে এমন হয়রানি করা হয়েছে।’
ছামুয়েল বলেন- ‘ব্রিটিশ হাইকমিশন পদক্ষেপ না নিলে ও এসএমপি কমিশনার মো. রেজাউল করিম (পিপিএম-সেবা), উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের ও উপ-কমিশনার শাহরিয়ার আলম সহযোগিতা না করলে আমার পাসপোর্ট ও ল্যাপটপসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র হারিয়ে আমি দিশেহারা হয়ে যেতাম। আমি আশা করছি- এই সংবাদ সম্মেলনের পর অভিযুক্ত দুটি আবাসিক হোটেল কর্তৃপক্ষ কোনো প্রবাসী বা কোনো বোর্ডারের সঙ্গে এমন অন্যায় আচরণ করার সাহস পাবেন না। প্রবাসীরা নাড়ির টানে দেশে ফিরে বার বার হয়রানির শিকার হন। আমাদের যাতে আর হয়রানির শিকার না হতে হয়- সে বিষয়ে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার আশা করি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024

Theme Download From ThemesBazar.Com
Translate »