চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বড়দারোগারহাটে ২০১৩ সালে ৭ ই আগষ্ট জামায়াতকর্মী রাসেল বাবুকে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পুলিশ কমিশনার ও আওয়ামী লীগের সাবেক দুই এমপি,দুই চেয়ারম্যান, ৬ পুলিশ কর্মকর্তা সহ মোট ৫৩ জনকে আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কার্যদিবসে চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জামায়াতকর্মী মীর ফরহাদ হোসেন। মামলাটি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় তদন্ত করে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সীতাকুণ্ড মডেল থানাকে নির্দেশ দেন আদালত।
মামলায় আসামি করা হয়েছে সীতাকুণ্ড মডেল থানার সাবেক এএসপি বর্তমান সিলেট বিভাগীয় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটি এসবি) মো: সাইফুল ইসলাম, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মোস্তাফিজুর রহমান, সীতাকুণ্ড থানার সাবেক ওসি ইফতেখার হাসান ও পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল হোসেন, এসআই গোলাম ফারুক, রেজাউল করিম, মো: ফারুক, শরিফুজ্জামান, কাজি আশরাফ, সাবেক এমপি দিদারুল আলম, এস.এম আল মামুন, তৎকালিন উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, সৈয়দপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, মুরাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার,বারৈয়াঢালা ইউপি চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বাহার ভূইয়া, যুবলীগ নেতা সাইদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা মো: ফারুক।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালের ৭ আগস্ট বড়দারোগারহাটের জামায়াতকর্মী রাসেল বাবু ইফতারী কিনে বাড়ী ফেরার পথে আওয়ামীলীগ’র সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও হত্যা বন্ধের প্রতিবাদে উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে সীতাকুণ্ড দক্ষিণ বাইপাসে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।এতে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আবুবক্কর ছিদ্দিক পারভেজ গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিচারপ্রার্থী হয়ে আদালতে এ মামলা করা হয়।
উল্লেখ্য,তৎকালীন ওসি ইফতেখার হাসান উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইন্জিঃ মোশারফ কে বাবা ডাকতেন, তাই মোশারফ কে খুশি রাখতে এবং দীর্ঘদিন সীতাকুণ্ড থাকতে ওসি ইফতেখার কুখ্যাত ওসি প্রদীপশীল হয়ে উঠেছিলেন।বিএনপি, জামাত শিবির নেতা কর্মী ধরা, হত্যা করাই ছিল তার নেশা যেন এটাই তার সরকারি দায়িত্ব ছিল! তাছাড়া সে সীতাকুণ্ডে অবৈধ পন্হায় তিনি আরো অনেক দুর্নীতি শুরু করে ও কোটি কোটি টাকা বানায়।সে একটানা ৫ বছর সীতাকুণ্ড চাকুরী করে গেছেন। কামিয়েছে শত শত কোটি টাকা। তার শিপ ইয়ার্ড ব্যবসা,শিপ, অসংখ্য ট্রাক রয়েছে।রযেছে চট্টগ্রাম,ঢাকা,টাঙ্গাইল বাড়ী। সীতাকুণ্ডে তার বেশ কয়জন বিশ্বস্ত সোর্স,দালাল ছিল,তাদের মাধ্যমে সে অবৈধ টাকা সংগ্রহ করতো। মামলা থেকে রেহায় পেতে, চার্জসীট থেকে বাদ দিতে, ক্রসফায়ার থেকে বাচাঁতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ও মামলা চার্জসীটে নাম দিয়ে দিতো। তার অপরাধ এতবেশী যে তাকে কয়েকবার ফাঁসী দিলেও তার বিচার শেষ হবার নয় বলে বিএনপি,জামায়াতের অভিযোগ।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply