চট্গ্রাম সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে ঐতিহ্যবাহি হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) মাজার,মসজিদ,মাদরাসা ও এতিমখানা ওয়াক্ফ এষ্টেট (যার ইসি নং ১৭৭৪৩) এর দানকৃত অর্থ লুটপাট ও ধর্ম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দখলে নিতে এলাকার একটি চক্র দীর্ঘদিন মরিয়া হয়ে কয়েকদফা হামলা চালায়,তারা মাজার,মসজিদ,এতিমখানার দানবাক্সের তালা ভেঙ্গে টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে যায়।
২০ এপ্রিল কালুশাহ্ (রহঃ) মাজার এতিমখানার সামনে এক সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন ওয়াকফ এষ্টেট পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী।
এক লিখিত অভিযোগ পাঠ করে সাংবাদিকদের কে শুনান কালুশাহ্ মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালনা কমিটির আবু সালেহ,বক্তব্য রাখেন কমিটির নেতৃবৃন্দ মোঃ সিরাজুদ্দৌলা, সেলিম আকবর,অধ্যক্ষ আবুল কালাম আমেরী,মোঃ আবুল হাসেম,আব্দুল রহিম,মোঃ সাহিদুল রহমান শাহিন,প্রমুখ। অভিযোগে তিনি জানান,বাংলাদেশ সহ উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার ও প্রসারে আরব রাষ্ট্র ইয়ামেন থেকে সমুদ্রিক পথে আধ্যাত্নিক শাহসুফি হযরত খাজা কালুশাহ্ আগমন করেন এবং সলিমপুরে আস্তানা করে ধর্ম প্রচার করেন।
আস্তানায় উনি জীবনের শেষ সময় কাটান,ফলে স্হানীয়রা উনার আস্তানায় কবরকে সংরক্ষন করেন এক প্রর্যায়ে এখানে,মাজার,মাদরাসা,মসজিদ,এতিমখানা গড়ে উঠে,বর্তমানে এখানে ১,হযরত খাজা কালুশাহ্ ( রহঃ) জামে মসজিদ,২, হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) সুন্নিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসা ৩, হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) লিল্লাহ বোর্ডিং ও এতিমখানা ৪, হযরত খাজা কালুশাহ্ ( রহঃ) দাতব্য চিকিৎসালয় ৫, হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৬, হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) ফোরকানিয়া মাদরাসা ৭, হযরত খাজা কালুশাহ্ (রহঃ) নুরানী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান এই এষ্টেট এর আয়ের অর্থ দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে।
স্হানীয় বাসিন্দা খন্দকার শওকত আলী,খন্দকার মোহাম্মদ আলী ও মোহাম্মদ মিনহাজ গংরা ভূয়া মোতাওয়াল্লী সেজে ভূল তথ্য দিয়ে একটি ওয়াকফ এস্টেট কমিটি গঠন করে যার ইসি নং-১৫৮৩৯ এবং আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।
মামলায় মাজার শরীফে জমির মালিকানা এবং মাজার পরিচালনা ও তত্বাবধানের দাবী করে আসছে। তবে দীর্ঘ দিন মামলা চলাকালে দুটি রায় আদালত ইসি নং ১৭৭৪৩ এর কমিটিকে পরিচালনার অনুমোদন দেয় যা ইউএনও সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এরুপ পরিস্হিতি সামলাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক লায়ন আসলাম চৌধুরী এফসিএ মরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করেছেন এবং বর্তমান কমিটিকে কার্য পরিচালনা করে যাওয়ার জন্য বলেন, তবে আদালত যার পক্ষে রায় দিবেন সেই পক্ষই এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব পালন করার জন্য বলেন। এর পূর্ব পর্যন্ত সকলে শান্তি পরিবেশ বজায় রাখবেন বলে অনুরোধ করেন।
এরপরও মাজার এস্টেটে হামলা দানবাক্স লুটের ঘটনা মাজার পরিচালনা কমিটি এতিম ও মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা আতংকে আছেন। বিষয়টি প্রশাসন ও সকল সাংবাদিকদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন মাজার এস্টেট কর্তৃপক্ষ।
WWW.DESHYNEWS24.COM/REGISTRATION NO-52472/2024
Leave a Reply